প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, এক হাজার চাকরি এবং ২৫০ হেক্টরের একটি এলাকা। ভেনিসের পোর্তো মারঘেরায় বাংলাদেশের একজন উদ্যোক্তা বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই নিজের ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়ে ব্রুগনারো জান্তার বাণিজ্য কাউন্সিলরের সাথে দেখা করেছেন। সেবাস্তিয়ানো কোস্টালোঙ্গা এই খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, মেয়র লুইগি ব্রুগনারো বিষয়টি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তিনি আর কিছু বলতে চাননি। মেয়রকে উদ্ধৃত করে সেবাস্তিয়ানো জানিয়েছেন, ''এক্ষেত্রে এলাকা ও ইচ্ছার অভাব নেই।
এক বিলিয়ন ডলার নিয়ে ভেনিসে এক বাংলাদেশি





প্রশাসন যেকোনো বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে চায়, বিশেষ করে যদি তারা পোর্তো মারঘেরা পুনরায় চালু করতে পরিবেশগতভাবে টিকে থাকার ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। আমি কনসালকে বলেছিলাম যে, এটিও একটি ভাল বাণিজ্য খাত, কারণ যদি এটি বাস্তবায়িত হয় তবে এর মাধ্যমে অর্থ আসবে। তাই এই অঞ্চলে বিনিয়োগ করুন এবং সম্পদ তৈরি করুন। কারণ এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকরা এখানে কাজ করতে এসেছেন, কিন্তু কখনো এই শহরে বিনিয়োগ করেননি। বিশ্বজুড়ে মোটরগাড়ি সেক্টরে ব্যবসার বিকাশ ঘটছে ।
ভেনিসকে বেছে নেয়ার কারণ একদিকে এটি সক্ষম একটি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে, সেখানে প্রতিষ্ঠিত কোনো উদ্যোক্তা নিজের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারেন,অন্যদিকে বাংলাদেশের শিল্পপতি ভালো জানেন যে, ভেনিস ইউরোপীয় তহবিল পেতে কঠোর পরিশ্রম করছে। এখানে ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রমের ভালো বিকাশ ঘটতে পারে এবং পোর্তো মারঘেরা একটি মুক্ত স্থান। এছাড়াও এখানে লজিস্টিক সহ ট্যাক্স, ট্যারিফ এবং ক্রেডিটের সুবিধা আছে। এছাড়াও নতুন কারখানায় দক্ষ কর্মীরা রয়েছে যারা সবুজ উৎপাদন বা গ্রিন প্রোডাকশনে পারদর্শী। ভেনিস ফাউন্ডেশন চালু করতে তারা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। পাশাপাশি এলাকাটির একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে যেখানে মানব পুঁজির বিকাশ ঘটতে পারে। ভেনিস এবং এর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কোনো শিল্প স্থাপনের জন্য টেকসই পরিবেশ দিতে পারে। সবশেষে মেয়র যদি রাজি থাকেন নতুন অফিসের যথাযথ তদন্ত করে এগিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেন তাহলে ভেনিসে নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ওই শিল্প উদ্যোক্তা। ভেনিসের জন্য তিনি হতে পারেন প্রথম বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একজন।
প্রোডাকশন
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান দেশ নয় যেখানে স্বয়ংচালিত খাতটি উন্নত, তবে দেশে তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গাড়ির ব্র্যান্ড রয়েছে- একটি হল সোবারি, যার মালিক টাটা মোটরস, বহুজাতিক ভারতীয় সংস্থা। বর্তমানে এটি সাশ্রয়ী মূল্যের কমপ্যাক্ট ভ্যান উৎপাদন করে যার ভালো চাহিদা রয়েছে। তারপর আছে মিশুক, ইলেকট্রিক রিকশা প্রস্তুতকারক, এটি বেশ বৈচিত্রপূর্ণ। এছাড়াও আছে Agate, এটি একটি স্বয়ংচালিত কোম্পানি যা ইউরেশিয়া জুড়ে কাজ করে এবং গাড়ি তৈরী না করলেও বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি করে। অন্যান্য গাড়ি কোম্পানিগুলির
চাহিদাও বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদন খাতে, উন্নয়নশীল দেশটির মাঝারি-নিম্ন শ্রেণির বেশিরভাগ মানুষ কাজ করছেন। ভারতীয় টাটা কোম্পানিও ভেনিসে বিনিয়োগে আগ্রহী , এই বহুজাতিক সংস্থার আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক চ্যানেলও আছে। কিন্তু অন্যরা সবাই প্রার্থী হতে পারে, কারণ বিষয়টি নিয়ে কনসাল জেনারেল ইতিমধ্যেই অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। তবে এটি একটি খুব জটিল পরিকল্পনা, তাই এলাকাটিকে ভালো করে বুঝে নিয়ে তবেই মেপে পা ফেলতে চাইছেন বাংলাদেশি শিল্পপতি।
সূত্র : prress.com