মারা গেছেন এপোলো-৭ মিশনের সর্বশেষ সদস্য কানিংহাম

সব দেখা : 45
প্রসারিত করো ছোট করা পরে পড়ুন ছাপা

এপোলো-৭ মহাকাশ মিশনের সদস্য ওয়াল্টার কানিংহাম ৯০ বছর বয়সে মারা গেছেন। এই মিশনে অংশ নেয়া মহাকাশচারীদের মধ্যে তিনি একাই বেঁচে ছিলেন। এপোলো-৭ ছিল পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়া প্রথম মিশন। মঙ্গলবার এর সদস্য কানিংহাম যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে মারা যান। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, নাসা একটি বিবৃতি দিয়ে কানিংহামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বিবৃতিতে উল্লেখ ছিল না। তাৎক্ষনিকভাবে কানিংহামের পরিবারের তরফ থেকেও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। কানিংহাম ১৯৬৮ অ্যাপোলো-৭ মিশনে থাকা তিনজন মহাকাশচারীর মধ্যে একজন ছিলেন। ১১ দিন ধরে মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এই মহাকাশযান। এই সময় টেলিভিশনে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল।এই অভিযানের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৬৯ সালে মানুষ চাঁদে অবতরণ করেছিল। 

এপোলো-৭ মিশনে কানিংহামের সঙ্গী ছিলেন মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ওয়াল্টার এম. শিরা এবং বিমান বাহিনীর মেজর ডন এফ. আইজেল। কানিংহাম ছিলেন স্পেস ফ্লাইটের লুনার মডিউল পাইলট। নাসা বলেছে কানিংহাম, আইজেল এবং শিরা একটি নিখুঁত মিশন সম্পাদন করেছিলেন। 

কানিংহাম আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ক্রেস্টনে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় পড়াশুনা করেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই স্থান থেকে ডক্টরেট শেষ করে নাসাতে যোগদান করেন কানিংহাম। তাকে যখন এপোলো-৭ মিশনের জন্য বাছাই করা হয়, তখন তিনি বেসামরিক ছিলেন। 

দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা কানিংহাম তার অতীতের কথা মনে করতেন প্রায়ই। মৃত্যুর এক বছর আগের একটি সাক্ষাৎকারে কীভাবে দরিদ্রভাবে বেড়ে উঠেছিলেন তা স্মরণ করেন তিনি। তিনি জানান, ছোট বেলায় মহাকাশযান নয় বরঞ্চ বিমান ওড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। ১৯৭১ সালে নাসা থেকে অবসর নেয়ার পর কানিংহাম ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা এবং বিনিয়োগে মনোযোগী হন। এছাড়া তিনি একজন পাবলিক স্পিকার এবং রেডিও হোস্ট হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। কানিংহামের আত্মজীবনী ‘দ্য অল-আমেরিকান বয়েজ’-এ তিনি তার মহাকাশচারী জীবনের কথা বর্ণনা করেছেন।

আরো দেখুন

সর্বশেষ ফটো